কাতার বিশ্বকাপের আগে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচ খেলেছিল ফ্রান্স। এই ম্যাচগুলোতে একটিতেও জিততে পারেনি বর্তমানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা, বরং হেরেছে দুটিতে। এমন পরিস্থিতিতেই কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ডেনিশদের বিপক্ষে নামে এমবাপ্পেরা। তবে এবার আর ভুল করেনি দিদিয়ের দেশমের শীর্ষরা।
২-১ ব্যবধানে ডেনমার্ককে হারিয়েছে ফ্রান্স।
স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ডি গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফ্রান্স ও ডেনমার্ক। প্রথমার্ধে দাপট দেখালেও গোলের দেখা পয়নি গ্রিজমান-এমবাপ্পেরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে ফরাসিদের জয়ের আনন্দ এনে দেন স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত প্রথম গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। ডি বক্সের বাঁ পাশ দিয়ে হার্নান্দেজ ঢোকেন বল নিয়ে। ওয়ান টু ওয়ান পাসে আবার যায় এমবাপ্পের কাছে। নিখুঁত শটে ডেনিশদের জালে বল পাঠিয়ে দেন এমবাপ্পে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও রুখতে পারেননি ডেনিশ গোলরক্ষক কেসপার স্মাইকেল।
তবে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি ডেনিশরা। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ক্রিসটেনসেনের গোলে সমতায় ফেরে ক্যাসপার হুলমান্দের শীর্ষরা। এরিকসেনের দারুণ কর্নার কিকে বল পান অ্যান্ডারসেন। সেই বল গোল মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিসটেনসেনের কাছে পাঠান তিনি। আর ফরাসি গোলরক্ষক লরিসকে ফাঁকি দিয়ে ফরাসিদের জালে বল পঠাতে ভুল করেননি ক্রিসটেনসেন।
ম্যাচের ৭২ মিনিটে ফের সুযোগ পায় ডেনিশরা। ডান পাশ দিয়ে ডি বক্সের একদম কাছে বল নিয়ে যায় ডেনিশ স্ট্রাইকার জেসপার। তবে তাকে বাঁধা দিয়ে দলকে বিপদ থেকে মুক্ত করেন লরিস। তবে কর্নার কিক পেয়ে যায় ডেনমার্ক।
ফের কর্নার নেন এরিকসন। তবে আগেরবারের মতো সুযোগ দেয়নি ফরাসি ডিফেন্ডাররা। কিন্তু পরক্ষণে ফের বল পান এরিকসন। বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে শট করেন তিনি। তবে বলটি রুখে দেন লরিস।
১-১ সমতায় শেষের দিকে যাচ্ছিল ম্যাচটি। তবে ৮৬ মিনিটে ফের ফ্রান্সকে লিড এনে দেন এমবাপ্পে। ডান দিকে একটি দারুণ ক্রস করেন গ্রিজম্যান। গোলের দুই গজ দূরে থাকা এমবাপ্পে লাফিয়ে উঠে থাইয়ের টোকায় বল পাঠিয়ে দেন জালে। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
ফ্রান্সের লিড নেওয়ার পর ছন্দ হারিয়ে ফেলে ডেনিশরা। অতিরিক্ত সাত মিনিট দেওয়া হলেও কোনো আক্রমণ করতে পারেনি তারা। আর এতেই ডি গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে চলে যায় দিদিয়ের দেশমের শীর্ষরা। অন্যদিকে দ্বিতীয় পর্বে ওঠার স্বপ্ন প্রায় শেষ হয়ে যায় ডেনিশদের। কারণ পরবর্তী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ড্র করলেই তারা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে।